লেখক গবেষণা-প্রবন্ধে তাঁর প্রতিটি বক্তব্য বা তথ্যের উৎস উল্লেখ করে থাকেন। অনেক সময় গবেষককে তাঁর বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণও উপস্থাপন করতে হয়। গবেষণাত্রে বা প্রবন্ধে এসব উৎস ও প্রমাণপত্র উপস্থাপনের পদ্ধতিকে রেফারেন্স বলে। রেফারেন্স প্রধানত দুই ধরনের- ১. নোট রেফারেন্স এবং ২. প্যারেনথেটিক্যাল রেফারেন্স । টেক্সটের বা লেখার যেখানে রেফারেন্স উল্লেখ করা প্রয়োজন সেখানে একটি শিরো-সংখ্যা বা চিহ্ন দিয়ে ঐ পাতার শেষ অংশে অথবা সম্পূর্ণ টেক্সটের শেষে রেফান্সের উৎস বা প্রমাণ উপস্থাপন করতে হয়। রেফারেন্সের এ অবস্থানের ভিত্তিতে নোট রেফারেন্স দু’প্রকার। যথা: ১. ফুটনোট বা পাদটীকা এবং ২. ইন্ডনোট বা প্রান্তটীকা। ম্যানুয়ালি একটি প্রবন্ধে ফুটনোট বা ইন্ডনোট দেওয়া অনেক কষ্টকর, পেজসেটাপ দেওয়াও প্রায় অসম্ভব। বিশেষত দুটি রেফারেন্সের মাঝে যদি নতুন কোন রেফারেন্স দিতে হয় তখন গবেষককে নতুন রেফারেন্সের পরবর্তী সকল শিরোসংখ্যা পরিবর্তন করতে হয় একটা একটা করে। আবার, যদি কোন কারণে গবেষক
ধরুন ৫ নম্বর রেফারেন্স বাদ দিতে চান তাহলে তাঁকে ৬ নম্বরকে ৫ এ পরিবর্তন করতে হয়। একইভাবে সমগ্র প্রবন্ধের পরবর্তী সকল নম্বরই পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু গবেষক যদি স্বয়ংক্রিয় (auto referencing) রেফারেন্স ব্যবহার করেন,
তাহলে এসব বিড়ম্বনা হয় না। যেকোন স্থানে নতুন রেফারেন্স যুক্ত করলে বা কোন রেফারেন্স বাদ দিতে চাইলে সংক্রিয়ভাবে পরবর্তী সংখ্যাসমূহ পরিবর্তন হয়ে যায়। শুধু তাই নয় বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে রেফান্সের নম্বর পরিবর্তনের সাথে সাথে বাদকৃত রেফান্সের তথ্যসমূহও মুছে যায়।আসুন মাত্র কয়েটি ধাপে জেনে নেওয়া যাক-
কীভাবে সংক্রিয়ভাবে রেফারেন্স দিতে হয় ।
[ উদাহরণের জন্য যে ছবি ব্যবহৃত হয়েছে, তা উইন্ডোজ সেভেন-এর জন্য প্রযোজ্য]
![]() |
চিত্র ১ |
প্রথম ধাপ: প্রথমে একটি এম.এস. ওয়ার্ডের ফাইল ওপেন করুন। এর পর মেনুবারের References এ ক্লিক
করুন (চিত্র ১)।
![]() |
চিত্র ২ |
এবার দ্বিতীয় চিত্র অনুসারে References-এর নিচে ডান কোণের ছোট এ্যারো চিহ্নে ক্লিক করুন। সেখানে ক্লিক করলে Footnote and Endnote নামের একটি ডায়লগ বক্স আসবে (চিত্র ৩)।
![]() |
চিত্র ৩ |
![]() |
চিত্র ৪ |
যেমন উপরের ছবিতে “... ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায় দেখিয়েছেন।” এ বাক্যের শেষে দাঁড়ির পর ক্লিক করুন।তাহলেই সেখানে কার্সার থাকবে(চিত্র ৪)।
![]() |
চিত্র ৫ |
আপনি কী বোর্ডে ক্রমান্বয়ে Ctrl , Alt এবং F চাপুন (চিত্র ৫)। দেখুন আপনার সাফল্য।
![]() |
চিত্র ৬ |
দেখবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত শব্দের পর এবং পাতার নিম্নাংশেও রেফারেন্স নম্বর যুক্ত হয়েছে (চিত্র ৬)। নিচের নম্বর ইংরেজিতে আসবে। সমস্যা নাই আপনি তা সিলেক্টে করে ফন্ট পরিবর্তন করে নিতে পারেন। এ নম্বরও অটো বাংলা করা যায়। তার জন্য আরো কয়েকটি ধাপ জানতে হবে। তা পরের কোন পর্বে শেখা যাবে।
![]() |
চিত্র ৭ |
ধরুন আপনি ১ এবং ২ এ দু্ই রেফারেন্স নম্বরের মাঝে ‘হতে পার’ শব্দের পর নতুন রেফারেন্স দিতে চান (চিত্র ৭); তাহলে আবার সেখানে কার্সার রেখে Ctrl+Alt+F চাপুন।
![]() |
চিত্র ৮ |

দেখুন ‘হতে পারে’-এর পর রেফারেন্স নম্বর ২ এসেছে এবং একই ভাবে নিচেও নতুন নম্বর ২ সংযুক্ত হয়েছে(চিত্র ৮)। সাথে সাথে পরবর্তী নম্বরসমূহও পরিবর্তিত হয়েছে। এভাবে কোন রেফারেন্স বাদ দিতে চাইলে টেক্সটের নম্বরটি ডিলিট করে দিলেই নিচের নম্বরসহ তথ্য মুছে যাবে এবং পরবর্তী নম্বরসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তিত হবে।
যারা গবেষণা কাজের সাথে যুক্ত তাদের জন্য বিষয়টি খুবই উপকারী। এই শিক্ষামূলক কার্যক্রমটির জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উত্তরমুছুনএ বিষয়টি আমার পূর্বেই জানা ছিল বিধায় এই মুহূর্তে কাজে লাগেনি। তবে ভবিষ্যতে আরো নতুন কিছু জানার অপেক্ষায় রইলাম
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনবাংলায় অটো নাম্বারিং কি করে হয় যদি একটু শেখাতেন, খুব ভালো হয়।
উত্তরমুছুনকোন স্থানে সমস্যা হচ্ছে? আপনি উন্ডোজ কত ব্যবহার করেন? লেখার সাথে কি মিলছে না?
উত্তরমুছুননা না মিলছে। খুবই সুবিধা হচ্ছে। আমি জানতে চাইছি বাংলা সংখ্যায় কিভাবে অটো নাম্বারিং হবে। বাংলা ভাষায় থিসিস লিখতে গেলে দরকার ।
মুছুননা না মিলছে। খুবই সুবিধা হচ্ছে। আমি জানতে চাইছি বাংলা সংখ্যায় কিভাবে অটো নাম্বারিং হবে। বাংলা ভাষায় থিসিস লিখতে গেলে দরকার ।
উত্তরমুছুননম্বরগুলো সিলেক্ট করে বাংলা ফন্ট নির্বাচন করুন।
উত্তরমুছুনএভাবে অবশ্য প্রতিটি নম্বরই পরিবর্তন করতে হবে। নতুন পোস্ট না লিখে ছবিসহ না বললে সেটিং পরিবর্তন করা শেখানো যাবে না। কখনও ফেবুতে থাকলে ভিডিউ কল করে ত্বরিত সমাধান করা যেতে পারে। সত্যিই আমি দুঃখিত। আমি অন্য কাজে ব্যস্ত।
উত্তরমুছুনটাইপের শেষে প্রত্যেকটা পেজের লাইন সমান রাখবো কী করে? দয়া করে যদি বলেন
উত্তরমুছুনসিলেক্ট করে জাসটিফাই করুন
মুছুনঅসংখ্য ধন্যবাদ। উপকৃত হলাম।
উত্তরমুছুন